Wednesday, June 6, 2007

জাতীয় নেতৃবৃন্দের স্বীকৃতি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি নাম যে নামের সাথে গোটা বাংলাদেশ জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ, এদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম, স্বাধীনতা অর্জন, এসবকিছুর সাথে এই মহান নেতার নাম মিশে আছে। তিনিই হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন কারাপ্রকোষ্ঠে।

১৯৭৫ সালে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরে। তাঁর বিরুদ্ধে চলে নানা অপপ্রচার। পাঠ্যবই থেকে তাঁর নাম মুছে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে করা হয় বিকৃত।

কিন্তু এর পরও বাংলাদেশের জনগণের হৃদয় থেকে তাঁর জন্য যে ভালোবাসা রয়েছে তা মুছে ফেলা যায়নি। তাই বিবিসির জরিপে তিনি নির্বাচিত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত যে সরকারই ক্ষমতায় ছিল তারাই বঙ্গবন্ধুর কুৎসা রটনায় ব্যস্ত ছিল। ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলতে ছিল বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই মহান নেতাকে তাঁর প্রকৃত মর্যাদা দিতে সচেষ্ট হলো। যার ফলে নতুন প্রজন্ম এই জাতীয় নেতার সম্পর্কে জানতে পারল। দেশের মানুষও দীর্ঘদিন পর কিছুটা হলেও প্রকৃত ইতিহাস জানতে সক্ষম হলো। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি থেমে রইল না। তারা এতদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তিযুদ্ধে কোনো অবদানই স্বীকার করত না। এবার তারা মুক্তিযুদ্ধের এক সেক্টর কমান্ডারকে বঙ্গবন্ধুর সমমর্যাদায় নিয়ে আসতে চেষ্টা চালালো ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত। যেখানে সেই প্রয়াত রাষ্ট্রপতিও জীবনে কোনদিন নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি সেই তাকেই তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে প্রচার করছিলো।

বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তরফ থেকে জাতীয় নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মাণ প্রদর্শন করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দাবি জাতীয় নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মাণ প্রদর্শন করার ক্ষেত্রেও যাতে ব্যালেন্স রক্ষার কোনো বিষয় না থাকে। যার যতটুকু অবদান ঠিক ততটুকুই যাতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

No comments: